এম আর মাইনউদ্দীন, নরসিংদী।
নরসিংদী শহরের প্রধান মৎস্য আড়ৎ এ অভিযান চালিয়ে বিষাক্ত জেলীযুক্ত শতাধিক কেজি চিংড়ি মাছ উদ্ধার ও নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মেহেদী মোর্শেদ এর নির্দেশে মাছগুলো আগুনে পুড়ে ধ্বংস করা হয়।
১১জুলাই রবিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার মোঃ আনিসুজ্জামান এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ মাছ উদ্ধার করা হয়। এসময় সাথে ছিলেন খামার ব্যাপস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান,রায়পুরা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ও মাঠ কর্মী মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন। তবে সাতক্ষিরা-রাজশাহী থেকে নরসিংদীতে পাঠানো এ মাছের মালিককে খোঁজে পাওয়া যায়নি।
খামার ব্যাপস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এসব মাছ সাতক্ষিরা ও রাজশাহী এলাকায় উৎপাদিত এসব মাছে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাছের ওজন বাড়ানোর জন্য বিষাক্ত সিলিকন লিকুইট করে সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাছের আবরণের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ক্রেতারা না জেনে অনেক সময় রান্নার সাথে এগুলো খেয়ে ফেলছে। এগুলো দেহে মরণ ব্যাধির কারণ হতে পারে।
মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান বলেন, সাতক্ষিরা-রাজশাহীতে সরবরাহকৃত এসব মাছ রাজধানী ঢাকা, নরসিংদী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রফতানি করে থাকে। ব্যাবসায়ীরা সাময়িক লাভবান হলেও সার্বিকভাবে সাধারণ মানুষ এগুলো খেয়ে মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মনের অজান্তে। তাই আমরা চাই সাধারণ মানুষ যেন দেখেশুনে যাচাই করে চাষের চিংড়ি মাছ ক্রয় করেন।
উক্ত অভিযানে উদ্ধারকৃত নয়টি মাছের ক্যারেটের প্রতিটি ১২ কেজি মাছ হিসেবে উদ্ধারকৃত ১০৮ কেজি মাছ অবশেষে সদর উপজেল মাঠে নিয়ে সকালেই উপস্থিত সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের সামনে আগুনে পুড়ে ধ্বংস করা হয়।
Leave a Reply