হুমায়ুন মিয়া নরসিংদী :- ‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি ‘ এই শ্লোগানে অনুষ্ঠিত হলো আলোচনা সভা।

মাধবদী থানার মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে রবিবার (২৯ আগস্ট) বিকাল ৩টায় মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ এনামুল হক শাহিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম। এসময় আয়োজকদের পক্ষ থেকে তাকে ফুল ও ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।

উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এনামুল হক সাগর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সৈয়দুজ্জামান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনসাধারণ।
মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, সাইবার ক্রাইম মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক এবং গ্রেফতারী পরোনামুক্ত আসামীদের পরিবারের সদস্য আত্মীয় -স্বজনদের উপস্থিতিতে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাগত বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ মোঃ সৈয়দুজ্জামান বলেন- আজকের অনুষ্ঠানে মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় এর আগমন কে আমি স্বাগতম জানাই। স্যারের নির্দেশে আমরা আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ এনামুল হক শাহিন বলেন – নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম স্যারকে স্বাগতম জানাচ্ছি। স্যার আসার পর নরসিংদী জেলার আইনশৃঙ্খলার অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হচ্ছে তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বলেন – আমি স্মরণ করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। জাতির জনক এর নিঃস্বার্থ সংগ্রাম আর ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মহামান্য আদালত এর পরোয়ানা ভুক্ত আসামীদের কে দ্রুত বিজ্ঞ কোন উকিলের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে হাজির হওয়ার পরামর্শ দেন। যার যার অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করাকে তিনি দেশ প্রেম বলেও জানান।
পরে আসামীদের পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে তাদের কে মহামান্য আদালতে হাজির হওয়ার জোর তাগিদ দেন। এব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনানুগ ভাবে সহায়তা করার আশ্বাস ও দেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

দৈনিক খবরের দলিল/ এম আর মাইনউদ্দীন